আলুর সুতলী পোকা: আলুর সুতলী পোকার মথ আকারে ছোট, ঝালযুক্ত, সরু ডানা বিশিষ্ট ধূসর বাদামি হয়৷
ক্ষতির নমুনা: কীড়া আলুর মধ্যে লম্বা সুড়ঙ্গ করে আলুর ক্ষতি করে থাকে।
৬। রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম রোভরাল মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর প্রয়োগ করতে হবে৷ ডাইথেন এম-৪৫ ০.২% হারে প্রয়োগ করা যায়৷
পরিপক্বতার লক্ষণ: যখন দেখা যাবে আলু গাছগুলো হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে তখনই বুঝতে হবে আলু তোলার উপযুক্ত সময় হয়েছে৷ সাধারণত আলুবীজ লাগাবার ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যেই এ আলু তোলা যায়৷
ক্ষতির নমুনা: হালকা দাদ হলে টিউবারের উপরে উঁচু এবং ভাসা বিভিন্ন আকারে বাদামি দাগ পড়ে। রোগের গভীর দাদে গোলাকার গর্ত বা ডাবা দাগ পড়ে। রোগের আক্রমণ সাধারণত ত্বকেই সীমাবদ্ধ থাকে।
ব্যবস্থাপনা: বিষটোপ ব্যবহার করতে হবে। গর্ত থেকে পোকা বের করে মেরে ফেলতে হবে।
গাছ খুব সবল ও মোটা। কান্ডের সংখ্যা কম কিন্তু লম্বা পাতা ঘন ও গাঢ় সবুজ। আলু ডিম্বাকার থেকে লম্বা ডিম্বাকার এবং মাঝারি থেকে বড় আকৃতির। জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন। জাতটি সারা দেশেই চাষ করা যায়। মোজাইক, পাতা মোড়ানো ভাইরাস রোগ, মড়ক রোগ প্রতিরোধক্ষম।
২৷ ৩% বরিক get more info এসিড় দ্বারা বীজ শোধন বা স্প্রে যন্ত্রের সাহায্যে প্রয়োগ করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়৷
পানি + ৩০ গ্রাম হারে বরিক এসিড মিশিয়ে বীজ আলু ১৫-২০ মিনিট চুবিয়ে পরে ছায়ায় শুকাতে হবে)।
ইউরিয়া ২২০ – ২৫০ কেজি ঌ০০ গ্রাম – ১ কেজি
অনুকূল পরিবেশ: ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি হতে এ পোকার সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বীজ বপন : বপনের জন্য আলুর টিউবার অর্থাৎ কন্দ ব্যবহার করা হয়৷ আগের বছরের সুরক্ষিত অঙ্কুরিত বীজ ব্যবহার করা হয়৷ আশ্বিনের মাঝামাঝি হতে অগ্রাহয়ণের মাঝামাঝি পর্যন্ত আলু লাগানো যেতে পারে৷ তবে আগাম ফসল করতে হলে ভাদ্র মাসের শেষে বীজ বপন করতে হবে৷
ক্ষতির নমুনা: আক্রান্ত অংশে কোষ পচে যায়। পচা আলুতে এক ধরনের উগ্র গন্ধের সৃষ্টি হয়। চাপ দিলে আলু থেকে এক প্রকার দূষিত পানি বেরিয়ে আসে। আক্রান্ত অংশ ঘিয়ে রংয়ের ও নরম হয় যা সহজেই সুস্থ অংশ থেকে আলাদা করা যায়।
ব্যবস্থাপনা: এই রোগের প্রতিকারের উপায় হল কম দূরত্বের বপন, সুষম সার ব্যবহার করা ও নিয়মিত সেচ প্রদান করা ।